নতুন দিল্লি, ১২ জুন, ২০২২
 
ন্যাশনাল মনুমেন্ট অথরিটি (এনএমএ)-র পূর্ণাঙ্গ দলটি আগামী ১৪ থেকে ১৮ই জুন পর্যন্ত অরুণাচল প্রদেশে তিব্বত-চীন সীমান্তবর্তী প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভগুলি পরিদর্শন করবে। লোকমুখে প্রচারিত ইতিহাস ও পৌরানিক কাহিনীর মাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশকে দেশের অন্য অংশের সঙ্গে যুক্ত করে, এমন আদিবাসী ধর্মীয় স্থানগুলি খুঁজে বের করতে এই দলটি স্থানীয় আদিবাসী নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবে। এনএমএ-র পূর্ণাঙ্গ দলে চেয়ারম্যান শ্রী তরুণ বিজয় ছাড়াও দুই সদস্য শ্রী হেমরাজ কামদারন্দ এবং কৈলাশ রাও থাকবেন।
 
শ্রী তরুণ বিজয় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সৌজন্যে তিনি অরুণাচল থেকে গুজরাটের পোরবন্দরিন পর্যন্ত একটি বার্ষিক যাত্রা শুরু করেন। রুকমণির উত্তরাধিকারের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা যোগসূত্রকে একত্রিত করে সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এই যাত্রা ছিল সবচেয়ে রোমাঞ্চকর। তিনি জানান, অরুণাচল প্রদেশ ঐতিহ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এমনকি জাতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলির কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত তালিকায় নতুন স্মৃতিসৌধের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ। তাই এনএমএ-র এই দলটি গ্রামের প্রবীণ ও বিভিন্ন উপজাতি নেতাদের সঙ্গে দেখা করবে। কারণ তাঁদের প্রত্যেকেরই ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভগুলির মাধ্যমে ধর্ম ও সাংস্কৃতি যোগ সম্পর্কে আকর্ষণীয় গল্প জুড়ে রয়েছে। এই সফরের পরে দলটি কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভের তালিকায় নতুন সংযোজনের পরামর্শ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, সাংস্কৃতিক পর্যটন স্থানগুলিকে চিহ্নিত করা হবে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শ্রী তরুণ বিজয় জানিয়েছেন, পরশুরামকুন্ড, ভীষ্মনগর, ভালুকপং এবং তাওয়াং হল প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের বিচারে অন্যতম আদিবাসী স্থান, যা অরুণাচল প্রদেশকে গুজরাট, গোয়া, কেরালা এবং যাদব সম্প্রদয়ের সঙ্গে যুক্ত করেছে।   

Post a Comment

Previous Post Next Post